মানুষের ব্যস্ত জীবনে দেখা দিয়েছে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন। এ জন্য বিভিন্ন রোগেও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
বর্তমান সময়ে অনেকে পাইলস রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর প্রধান কারণ হচ্ছে– খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত জীবনযাত্রা।
পাইলস দুই ধরনের হয়ে থাকে-
অভ্যন্তরীণ পাইলস
অভ্যন্তরীণ পাইলস মলদ্বারের ভেতরে থাকে। এগুলো সাধারণত দেখা যায় না বা অনুভব করা যায় না এবং এগুলো খুব কমই অস্বস্তির কারণ হয়।
বাহ্যিক পাইলস
মলত্যাগের সময় বাইরে চলে আসে আঙুল দিয়ে ঢুকাতে হয়। অন্ত্রের নড়াচড়ার সময় ব্যথাহীন রক্তক্ষরণ ও মলদ্বার ব্যথা এবং জ্বালা হয়।
এ বিষয়ে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম দাউদ যুগান্তরকে বলেন, পাইলস হলে কিছু খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এ রোগে কী খাবার খাবেন আর কী খাবেন না তা জানা ও মানা জরুরি।
তিনি বলেন, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করে এই রোগ খুব সহজে দূর করা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যকে নিরাময় করা গেলেই দূর হবে পাইলস।
আসুন জেনে নিই কী করবেন-
১. পাইলস রোগীদের মসলাযুক্ত খাবার না খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত হজম ক্ষমতাকে দুর্বল করে ও অর্শের ব্যথাও বৃদ্ধি করে।
২. পাইলস থাকলে কফি ও চা জাতীয় পানীয় খাবেন না। এসব পাইলসের সমস্যা বাড়ায়। সুস্থ থাকতে পান করুন গ্রিন টি।
৩. তেলে ভাজা খাবারও ক্ষতিকর। পাইলসের রোগীর ভাজা খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এসব খাবার হজম ক্ষমতাকে দুর্বল করে ও পাইলসের সমস্যা বাড়ায়।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য হলেও অর্শের ফলে রক্তক্ষরণ হলে মাংস খাওয়া বন্ধ করুন। বিশেষ করে রেড মিট খাবেন না।
৫. দোকান থেকে কেনা মাংসজাতীয় বিভিন্ন খাবার এড়িয়ে চলুন।